বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া উভয়ের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। পার্থে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে লিড নিয়েছিল ভারত। তবে অ্যাডিলেডের পিঙ্ক টেস্টে ভারতকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছ অজিরা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতা আনলো অস্ট্রেলিয়া। আর তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুঃসংবাদ পেল বুমরাহ-সিরাজরা।
এক থেকে একেবারে তিনে, অ্যাডিলেড টেস্টে হেরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলে দুই ধাপ অবনতি হয়েছে ভারতের। যারা এই পরিবর্তনে মূল ভূমিকা রাখল, সেই অস্ট্রেলিয়া তিন থেকে উঠেছে সবার উপরে। অন্যভাবে বললে, বর্ডার গাভাস্কার সিরিজে মুখোমুখি দুই দল নিজেদের মধ্যে স্থান পরিবর্তন করল।
অ্যাডিলেডে দুই দলের ম্যাচটি শেষ হয়েছে আড়াই দিনেরও কম সময়ে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই জয় পায় অজিরা। সব মিলিয়ে এ ম্যাচে খেলা হয়েছে ১০৩১ বল। অস্ট্রেলিয়া-ভারতের দ্বিপক্ষীয় লড়াইয়ে সবচেয়ে কম বল মাঠে গড়ানোর রেকর্ড এটি। এর আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে সবচেয়ে কম বলের রেকর্ডটি ছিল ১১৩৫ বলের। ২০২৩ সালের ইন্দোর টেস্ট শেষ হয়েছিল ১১৩৫ বল।
অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১৮০ রানে অল আউট করার পর ৩৩৭ রান করে স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১৭৫ রানে অল আউট হলে ১৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়ার যা ২০ বলেই পেরিয়ে যান অজিদের দুই ওপেনার উসমান খাজা ও ন্যাথান ম্যাকসুয়েনি। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে এত কম রান তাড়া করে কখনো জেতেনি কোনো দল।
এই জয়ে অস্ট্রেলিয়া তাদের পয়েন্ট দাঁড় করিয়েছে ১০২-এ, জয়ের হার ৬০.৭১ শতাংশ। অন্যদিকে, ভারতের জয়ের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭.২৯ শতাংশে, যা তাদের টেবিলের তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৯.২৬ শতাংশ জয়ের হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শীর্ষ তিন দলের পর শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ অবস্থান করছে।
এ হারের ফলে ভারতের জন্য বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। রোহিত শর্মার দলকে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে জিততেই হবে, নতুবা নির্ভর করতে হবে পরিসংখ্যান ও অন্য দলের পারফরম্যান্সের ওপর।
ডব্লিউটিসি ২০২৩-২৫ পয়েন্ট টেবিল-
অস্ট্রেলিয়া: ১০২ পয়েন্ট (৬০.৭১ শতাংশ), দক্ষিণ আফ্রিকা: (৫৯.২৬ শতাংশ), ভারত: (৫৭.২৯ শতাংশ), শ্রীলঙ্কা: (৫০ শতাংশ) , ইংল্যান্ড: (৪৫.২৪ শতাংশ), নিউজিল্যান্ড: (৪৪.২৩ শতাংশ), পাকিস্তান: (৩৩.৩৩ শতাংশ), বাংলাদেশ: (৩২.২৫ শতাংশ), ওয়েস্ট ইন্ডিজ: (২৪.২৪ শতাংশ)
আরও পড়ুন: