
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করে দুর্বার রাজশাহী। জবাবে খেলতে নেমে ১৯ ওভার ১ বলে ৬ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। ১৬তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় ১৯ রান তুলে সেই সমীকরণ সহজ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরের ওভারে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৫ রান নেন ফাহিম আশরাফ। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের এমন ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। ইনিংসের প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জিশান আলম। সুবিধা করতে পারেননি আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও। ৫ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।
১২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন কাইল মেয়ার্স। গত আসরে দুর্দান্ত খেলা এই ক্যারিবিয়ান এবার শুরুর ম্যাচে ব্যর্থ। ৫ বলে ৬ রান করা এই হার্ডহিটারকে রায়ান বার্লের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
৩০ রানে টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে বরিশাল। সেই বিপদ আরো বাড়িয়েছেন মুশফিকুর রহিম-তাওহিদ হৃদয়রা। দুজনই শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
৬১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৭ বলে ২৭ রান করে আফ্রিদি ফিরলে ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এই জুটিতে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরে বরিশাল।
এরপর ফাহিম আশরাফকে নিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে যান মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সমীকরণ মেলানোয় মনোযোগ দেন। তাতে সফল দুজনই। ২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর ফাহিমের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৫৪ রান।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানে নিজেদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে হারায় রাজশাহী। এরপর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ আনামুল হক ও ইয়াসির আলী। এই দুইজন গড়েন ১৪০ রানের জুটি। যেখানে আনামুল দেখে খেলে ৫১ বলে ৬৫ করলেও, বরিশালের বোলারদের উপর চড়াও হন ইয়াসির। তিনি ৪৭ বলে করেন ৯৪ রান। আর এতেই ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় তাদের দল। যদিও শেষপর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের তাণ্ডবে এই রান পাহাড় টপকে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন: