
যে ম্যাচে প্রথমার্ধে বেনফিকা এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। যে ম্যাচটায় বার্সেলোনা একসময় পিছিয়ে গিয়েছিল ৪-২ গোলে। সেটাই বার্সা শেষ পর্যন্ত জয় করেছে ৫-৪ ব্যবধানে। রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স, রবার্ট লেভানডফস্কির রেকর্ড, লামিনে ইয়ামালের ম্যাজিকে বার্সা পেয়েছে স্মরণ করে রাখার মতো এক জয়। ৯৬ মিনিটে রাফিনিয়ার গোলের পর ৫-৪ ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।
অন্যদিকে, ব্ল-গ্রানাদের এমন নৈপুণ্যে ঢাকা পড়ে গিয়েছে বেনফিকার গ্রিক স্ট্রাইকার ভাঙ্গেলিস পাভলিদিসের হ্যাটট্রিক। অথচ ম্যাচের মাত্র ৩০ মিনিটের মাঝেই তিন গোল করে ফেলেছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে ম্যাচের শুরু থেকে হিসাব করলে এটি তৃতীয় দ্রুততম হ্যাটট্রিক।
ম্যাচের ২য় মিনিটেই আলভারো ফের্নান্দেস পাস থেকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শটে বল জালে পাঠান পাভলিদিস। ২২ মিনিটে সুইপার কিপার হিসেবে এগিয়ে এসে আর ৩০ মিনিটে বক্সে ফাউল করে পাভলিদিসকে আরও দুই গোলের সুযোগ করে দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওলশেক সেজনি। পাভলিদিস সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন দুবারই।
এরমাঝে অবশ্য ত্রয়োদশ মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার স্পট-কিকে বার্সাকে সমতায় ফেরান রবার্ট লেভানডফস্কি। আলেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। প্রথমার্ধের স্কোরলাইন শেষ হয় ৩-১ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধটা যদি হয় বেনফিকার। তবে দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোপুরি বার্সেলোনার। ৬৪তম মিনিটে বেনফিকার গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিনের ভুলে ব্যবধান কমায় তারা। ত্রুবিনের গোল কিক সরাসরি যায় বক্সের বাইরে থাকা রাফিনিয়ার কাছে। সেখান থেকে আলতো হেডে রাফিনিয়া বল জড়ান জালে।
চার মিনিট পরই অবশ্য দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা। এবার ভুল করে বসেন আরাউহো। বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার। ৬৮ মিনিট শেষে বার্সেলোনা পিছিয়ে ৪-২ গোলে। আর এখান থেকেই শুরু আরেকটা অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্পের।
৭৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের আদায় করা পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করে খেলা জমিয়ে তোলেন লেভানডফস্কি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেনাল্টিতে এখন সবচেয়ে বেশি গোল তারই। আর নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে ৪-৪ সমতা আনেন এরিক গার্সিয়া। পেদ্রির ক্রসে হেডে গোলটি করেন বদলি নামা এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচে বার্সার জয় নিশ্চিত করেন রাফিনিয়া। সেটাও একেবারে ক্লাসিক ব্রাজিলিয়ান ঢঙে। ফেরান তোরেসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকেছেন। এরপর বেনফিকা ডিফেন্ডার আলভারো কারেরাসকে কাটিয়ে গোলকিপার আনাতোলি ত্রুবিনকে বোকা বানিয়েছেন। সবমিলিয়ে বার্সার সোনালী সুদিনে নেইমার কিংবা রোনালদিনহোকে মনে করিয়েছেন রাফিনিয়া। সেইসঙ্গে নিশ্চিত করেছেন ৫-৪ গোলের দারুণ এক জয়।
আরও পড়ুন: