
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাউন্ড অব সিক্সটিনে পরিষ্কার ফেভারিট হয়েই মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু সেই দলটারই জয় পেতে রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে বেনফিকার বিপক্ষে।
আর তার পেছনে বড় কারণ ছন্দে থাকা ডিফেন্ডার পাউ কুবারাসির লালকার্ড। ১০ জনের দলের ওপর যতটা চড়াও হওয়া সম্ভব ছিল, তার সবটাই করেছে বেনফিকা। কিন্তু ঘরের মাঠের দর্শকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দিতে পারেনি পর্তুগিজ ক্লাবটি। উল্টো রাফিনিয়ার গোলে ১-০ গোলের হার সঙ্গী হয়েছে তাদের।
বার্সেলোনার হয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম লাল কার্ড দেখে ২২তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন তরুণ ডিফেন্ডার পাউ কুবার্সি। বাকি সময়ে রক্ষণ সামলে দারুণ এক জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। ২০ সেকেন্ডেই কেরেম আকতুর্কোগ্লুর শট ঠেকান ওলশেক সেজনি। এরপর আলোর মুখ দেখেনি নিকোলাস ওতামেন্ডির দারুণ হেড।
১২ মিনিটে বার্সার নিশ্চিত গোলের সুযোগ ঠেকিয়ে দেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি তুরবিন। এরপর আবার সুযোগ পেয়েছিল বেনফিকাশট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ভানজেলিস পাভলিদিস। ছয় মিনিট পর তাকে ঠেকাতে গিয়ে মরিয়া চেষ্টায় ফাউল করে বসেন কুবার্সি। তরুণ ডিফেন্ডারকে সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
একজন কম নিয়েও অবশ্য বেনফিকার সঙ্গে সমানে সমান লড়ে গেছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল। বেনফিকার আক্রমণের চাপ সামলে চেষ্টা করে গোল আদায়ের। রক্ষণ মজবুত করে নিতে ২৮তম মিনিটে ওলমোর জায়গায় রোনাল্ড আরাউহোকে নামান ফ্লিক। ১০ জনের বার্সায় খেলায় আসে ব্যালেন্স।
বিরতির পরও আধিপত্য বিস্তার খেলতে শুরু করে বেনফিকা। ৫০ ও ৫৮ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি করতে পারেননি কোকু বা পাভলিদিসের কেউই। বেনফিকা না পারলেও ভুল করেনি বার্সা। ৬১ মিনিটে ১০ জনের বার্সাকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। দারুণ এক মাটি কামড়ানো এক শটে গোল করেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ ব্রাজিলিয়ান তারকা।
৮২তম মিনিটে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ডি-বক্সে আন্দ্রেয়া বেলোত্তিকে ফাউল করে বসেছিলেন শেজনি। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড অফসাইডে থাকায় ভিএআরের সহায়তায় সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি। বাকি সময়টায় আর গোল খুঁজে পায়নি বেনফিকা।
আরও পড়ুন: