
লেগানেসের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। এবার ঠিক একই ব্যবধানে হ্যান্সি ফ্লিকের দল কষ্টসাধ্য জয় পেয়েছে। অবশ্য তাতেও ছিল ভাগ্যের ছোঁয়া। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে জিতে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল বার্সা। একইসঙ্গে লা লিগায় দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে তারা ৭ পয়েন্টে এগিয়ে গেল।
শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমে আধিপত্য দেখালেও ঠিক গোলটা পাওয়া হচ্ছিল না রাফিনিয়া-লেভান্ডস্কিদের। ফিনিশিং ব্যর্থতায় তাদের ফিরতে হচ্ছিল হতাশা নিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাদের সেই অস্বস্তি কাটিয়ে দেন লেগানেস ডিফেন্ডার জর্জ সায়েঞ্জ। তার আত্মঘাতী গোলেই সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে কাতালানরা টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজেয় থাকার যাত্রা অব্যাহত রাখল।
শুরু থেকেই স্বাগতিক লেগানেসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বার্সেলোনা। যদি প্রতিপক্ষ দলটাই প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় দ্বাদশ মিনিটে। তবে তাদের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক ভয়চেক সিজনি। এর মিনিট দশেক পর লামিনে ইয়ামাল ও জুল কুন্দের যৌথ প্রযোজনায় লিড নেওয়ার কাছাকাছি ছিল সফরকারীরা।
তবে কুন্দের শট লেগানেস ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে জালের কোণা নিয়ে জড়িয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে গোলরক্ষক সামলে নেন। এরপর ইয়ামাল-রাফিনিয়াদের একাধিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় প্রতিপক্ষের দুর্গে গিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধের পর তৃতীয় মিনিটেই ম্যাচের ডেডলক ভাঙে লেগানেস ডিফেন্ডারের ভুলে। রাফিনিয়ার পাস বক্সে স্লাইড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে জর্জ সায়েঞ্জ নিজেদের জালে বল জড়িয়ে বসেন। সেই লিড বাড়ানোর সুযোগটা ১০ মিনিট পরই পেয়েছিল বার্সা।
তবে কয়েকজনের বাধা পেরিয়ে সামনে গিয়ে নেয়া ফার্মিন লোপেজের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে যায়। এভাবে কয়েকটি সুযোগ মিসের ফাঁকেই লেগানেস একটি গোল করেছিল। তবে ৭০ মিনিটে করা রাবার গোলটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। এরপর আর কেউই স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেনি।
এই জয়ে ৩১ ম্যাচে লা লিগার শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট দাড়ালো ৭০–এ। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। তাদের সমান ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের। অন্যদিকে, লেগানেস আছে টেবিলের ১৯ নম্বরে, নিচে আছে কেবল রিয়াল ভায়াদোলিদ।
আরও পড়ুন: