মঙ্গলবার

৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
০২ জামাদিউছ ছানি, ১৪৪৬

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ১৬:৪৬

শেয়ার

ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি রকেট হামলা
ইসরাইল হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটি দক্ষিণ লেবাননের খিয়াম শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী রোববার বলেছে যে তারা জুলাই মাসের শেষের দিকে কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল প্রতিশোধমূলক আক্রমণের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

আল-জাজিরা জানায়, হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে যে তারা মেরন ঘাঁটি ও অধিকৃত গোলান হাইটসের চারটি সাইটসহ ১১টি ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি ও ব্যারাকে ৩২০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে।

হিজবুল্লাহর এ প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত ছিল, কেননা হিজবুল্লাহ তার নিজেদের শীর্ষ কমান্ডারসহ সহযোগী হামাসের সিনিয়র কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যার জন্য ইসরাইলের ওপর দোষারোপ করছে।

ইসরাইল রোববার বলেছে যে তারা উত্তর ইসরাইলে আক্রমণ করার জন্য হিজবুল্লাহর প্রস্তুতি শনাক্ত করার পর আগে থেকেই দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা শুরু করেছে।

লেবাননের মারজায়ুন শহর থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক জেইনা খোদর বলেছেন, ‘লেবাননের ওপর ইসরাইলের হামলার বেশিরভাগই ছিল সীমান্ত এলাকায়, যা ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর ৫ কিলোমিটার গভীরে।’

তিনি জানান, লেবাননের সীমান্ত এলাকা এখন একটি সামরিক অঞ্চল। এটি বর্তমানে খালি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী এ এলাকাটিতে আঘাত করেছে।

ইসরাইল বলেছে যে ১০০টি জেট বিমানের মাধ্যমে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে ইসরাইলিদের রক্ষা করার জন্য হিজবুল্লাহর রকেট উৎক্ষেপণের আধা ঘন্টা আগে দক্ষিণ লেবাননে হাজার হাজার হিজবুল্লাহ লঞ্চ সাইটগুলো বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।

লেবাননের এনএনএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, কাসিমিয়ায় ইসরাইয়েলি ড্রোন হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছে এবং খিয়াম শহরে একটি বিমান হামলায় একজন নিহত হয়েছে।

ইসরাইল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশব্যাপী ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ ঘোষণা করেছেন।