হামাসের মুখপাত্র আবু উবায়দা এক অডিও বার্তায় জানান, হামাসের যোদ্ধাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে যদি কোনো জিম্মির কাছে ইসরায়েলি সেনারা চলে আসে তাহলে তাকে যেন গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর আগে, রবিবার গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েল সেনারা। পরবর্তীতে তারা জানান এ ছয়জনকেই উদ্ধারের এক অথবা দুইদিন আগে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
গত জুনে গাজার নুসেইরাত ক্যাম্পে চার জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করতে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী হত্যা করেছিল ২৭৪ ফিলিস্তিনিকে। নুসেইরাতের এ ঘটনার পরই যোদ্ধাদের জিম্মিদের হত্যার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবু উবায়দা।
ইসরায়েলি সেনারা যখন শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যার মাধ্যমে জিম্মিদের উদ্ধার করে, তখন সাধারণ ইসরায়েলিরা ভাবছিলেন যুদ্ধ চলার সঙ্গে সঙ্গে যেহেতু জিম্মিদেরও উদ্ধার করা যাচ্ছে তাহলে যুদ্ধ চলুক। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর ছয়জনের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হাজার হাজার ইসরায়েলি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে চাপ দিতে রাস্তায় নেমে আসেন।
তবে পরেরদিন সন্ধ্যায় যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত নেতানিয়াহু সে চাপকে পাত্তা না দিয়ে জানান, গাজা-মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করবেন না। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এখন যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না মূলত ইসরায়েলি সেনাদের গাজা-মিসর সীমান্তে থাকার বিষয়টি নিয়ে।
হামাস বলছে যে যুদ্ধবিরতি চাইলে দখলদারদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অপরদিকে নেতানিয়াহু বলছেন যদি তারা ফিলাডেলফি করিডর থেকে সেনা সরিয়ে নেন তাহলে হামাস সীমান্ত ব্যবহার করে আবারও অস্ত্র নিয়ে আসবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হামাস নতুন যে কৌশল নিয়েছে এটি যুদ্ধে নতুন আরেকটি ধাপ তৈরি করেছে। সঙ্গে জটিল করেছে জিম্মি সমস্যাটি।
আরও পড়ুন: