শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

নাইন-ইলেভেন: এক ভয়াবহ অধ্যায়ের স্মৃতি; এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে বহু প্রশ্ন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৪:৩৯

আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:০৫

শেয়ার

নাইন-ইলেভেন: এক ভয়াবহ অধ্যায়ের স্মৃতি; এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে বহু প্রশ্ন
নাইন ইলেভেন হামলার ২৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ছবি: সংগৃহীত

আজ ১১-ই সেপ্টেম্বর। ২০০১ সালের আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এক চিরস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে আঘাত হানা হয় নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে, যা সারা বিশ্বকে আতঙ্কিত করে। সেদিন হাজারো মানুষ প্রাণ হারায়।

দুটি বিমান আঘাত হানে টুইন টাওয়ারে, প্রথমটি সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি ৯টা ৩ মিনিটে। পরপরই ভবন দু’টি ধ্বসে পড়ে। তৃতীয় বিমানটি আঘাত করে পেন্টাগনে। আর চতুর্থটি বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। চতুর্থ বিমানের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি।

এই ঘটনায় নিহত হয় প্রায় ২,৯৭৭ জন মানুষ। যাদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণরাও ছিলেন। বিমান যাত্রী, ভবন কর্মী এবং জরুরি সহায়তা কর্মীরা সেদিনের ট্র্যাজেডির শিকার হন।

এই হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে পরিচালিত সংগঠন আল-কায়দাকে দায়ী করা হলেও সেটি নিয়ে এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা।

পরবর্তীকালে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকা আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। বিশ বছর পরেও নাইন-ইলেভেনের এই স্মৃতি এখনো ভোলেনি বিশ্ব, যা মানব সভ্যতার জন্য এক গভীর শিক্ষার বার্তা রেখে গেছে।

হামলা নিয়ে এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে বহু প্রশ্ন

২৩ বছর আগে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনের ওপর হামলার ঘটনার পেছনে আসল কাহিনী কী ছিলো এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের আসল ফলাফল কী—এই দুটি প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নাইন-ইলেভেন হামলার গোপন তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা ইঙ্গিত দেয় এই ঘটনার পেছনে আরও রহস্য থাকতে পারে। অনেকেই মনে করেন, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র অথবা ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাজ ছিল।

বিশ্বব্যাপী বহু বিশেষজ্ঞের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ফলাফল অত্যন্ত বিরূপ হয়েছে। আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধের নামে চলা দীর্ঘ সংঘর্ষে লাখো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আর এ যুদ্ধের পটভূমি হিসেবে ছিল নাইন-ইলেভেনের অজুহাত। সেই সাথে বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে।

বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতা ও অভিবাসন সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সূত্রপাতও অনেকাংশে নাইন-ইলেভেনের পরবর্তী যুদ্ধ ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে সিরিয়া, লিবিয়া ও আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার পেছনে রয়েছে এই যুদ্ধের প্রভাব।

নাইন-ইলেভেনের ঘটনার রহস্য এবং এর পরবর্তী সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের ফলাফল এখনো পর্যালোচনার অপেক্ষায়। যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য প্রকাশিত হলে হয়তো অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে।