সারাবিশ্বে চাহিদা কমেছে ভারতীয় পণ্যের। দেশটির কেন্দ্র সরকারের দেয়া পরিসংখ্যানে কপালে ভাজ পড়েছে একদল বিশেষজ্ঞের। ভারত সরকার বলেছে, গত ৯ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার আমদানি ও রফতানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট ভারতের রফতানি বাণিজ্য কমেছে ৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, আমদানির পরিমাণ তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের রফতানি বাণিজ্য কমে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া, যা যথেষ্ট চিন্তার বলে দাবি করেছেন তারা।
আগস্টে আমদানি ও রফতানির মধ্যে ফারাক প্রায় ২.৫১ লক্ষ কোটি ভারতীয় রুপিতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
সরকার জানিয়েছে, এ বছরের আগস্টে ২.৯ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য রফতানি করা হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ৩.২ লক্ষ কোটি টাকা। একইভাবে ২০২৩ সালের আগস্টের নিরিখে এ বছর বেড়েছে আমদানির পরিমাণও।
কেন্দ্র সরকারের মতে, চলতি বছরের আগস্টে রফতানি হয়েছে ২.৯ লাখ কোটি টাকার পণ্য। গত বছর তা ছিল ৩.২ লাখ কোটি টাকা। একইভাবে, আগস্ট ২০২৩ এর পরিপ্রেক্ষিতে এই বছর আমদানির পরিমাণও বেড়েছে।
কেন্দ্র সরকারের মতে, এই বছরের আগস্টে ৫.৩৮ লক্ষ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করা হয়েছে। আগস্ট ২০২৩ এ যা ছিলো ৫.২১ লক্ষ কোটি টাকা। আগামী দিনে গত ১০ মাসের ঘাটতি কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারবার বিশ্ব সাপ্লাই চেইনে জায়গা পাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। কিন্তু আগস্টে রফতানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় বিরোধীরা তার সমালোচনা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: