শুক্রবার

২২ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইসরায়েলিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর, ২০২৪ ১৪:২৬

আপডেট: ২ অক্টোবর, ২০২৪ ১৪:৩৯

শেয়ার

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ইসরায়েলিরা
ছবি:সংগৃহীত

অবশেষে ইসরায়েলের ভুখণ্ডে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তেল-আবিবকে লক্ষ্য করে প্রায় ১৮০ টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপাণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। মঙ্গলবারের এ হামলায় দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। হামলার সময় সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্যরা বাংকারে আশ্রয় নিয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  

ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্ববান জানিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানায়, সাইরেন শুনলে বাসিন্দাদের একটি নিরাপদ এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে। পাশাপাশি সেনা কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলারও আহ্ববান জানিয়েছে আইডিএফ। 

তবে ইরানের এ হামলা মোকাবিলা করার সক্ষমতা রয়েছে ইসরায়েল, এমন দাবি করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। ইরানের দাবি  ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। বিপ্লবী গার্ডের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলো ইসরায়েলের বিভিন্ন বিমান ও রাডার ঘাটি। এছাড়া হামাস ও হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হত্যার পরিকল্পনায় জড়িতদেরকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

এদিকে ইসরায়েলের ভুখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরান 'বড় ভুল' করেছে বলে হুশিয়ারি দিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, ইরানের হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। তবে তিনি এমন দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কোথাও কোথাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মিসাইলের ধ্বংসাবশেষ। এছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবদনে বলা হয়, তেল-আবিবে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদরদপ্তরের পাশেই একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হয়েছে। 

লেবাননের স্বশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ'র মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে ইরান আগেই হুশিয়ারি উচ্চারণ করে আসছিলো। এরই মাঝে মঙ্গলবার লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই একইদিন রাতে মিসাইল ছুড়ে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালালো ইরান। দেশটির তাবরিজ, খাসান ও তেহরানের উপকণ্ঠ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

ইসরায়লে ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে দেশটিকে আগেই সতর্ক করেছিলো অ্যামেরিকা।