"মুর্শিদাবাদ সীমান্তে দুই ভারতীয়কে অপহরণ করল বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষীরা" বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা বিভাগে প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম এটি।
এমনকি পুরো সংবাদ জুড়েই আটকের স্থলে অপহরণ শব্দটি স্বাভাবিকীকরণের চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সংবাদটির এক পর্যায়ে প্রতিবেদক উল্লেখ করেন, সওয়েব নবি শেখ ও আইনুল হক শেখ নামে ওই দুই ব্যক্তি বিএসএফকে জানিয়ে পদ্মার চরে চাষের কাজ করতে জান। তখন তাঁদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষীরা অপহরণ করেন। প্রতিবেদক বিষয়টিকে অপহরণ বলে উল্লেখ করেন সংবাদের এই পর্যায়ে।
এছাড়াও, বিজিবির এই আটক কর্মকান্ডকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ঐ সংবাদটিতে।
বলা হয়েছে, বিজিবি কতৃক হেফাজতে নেয়ার অভিযোগ স্বীকার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, অভিযোগ শব্দটি কোনো স্বাভাবিক কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়ে থাকে না।
বুধবার বিকালে রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুর সীমান্তে ৬৮/২ এস বাংলাদেশ পিলারের ৫০০ গজ অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে আটককৃত ঐ দুই ভারতীয়।
একটি দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশ করা পরে কোনো ব্যক্তি দায়িত্বরত সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা আটক হলে এবং বিষয়টি দায়িত্বরতরা ঘোষণা করলে সেটিকে আটকই বলা হয়ে থাকে, অপহরণ না।
অপহরণ শব্দটি প্রযোজ্য হয়ে থাকে অন্যায়ভাবে গুপ্ত আটক কিংবা নিজ স্থান থেকে অন্য স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে বিজিবি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় এলাকা থেকে তাদেরকে আটক না করায় ঘটনাটিকে এদিক থেকেও অপহরণ বলা যৌক্তিক না।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য বাংলা এডিশন থেকে ঐ প্রতিবেদককের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি ।
বিজিবি কতৃক ভারতীয় এলাকা থেকে এখন অবধি কোনো অপহরণের ঘটনা না ঘটলেও বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশী এলাকা থেকে অপহরণের ঘটনা এর আগে বহু ঘটেছে।
আরও পড়ুন: