শনিবার

১২ অক্টোবর, ২০২৪
২৭ আশ্বিন, ১৪৩১
০৮ রবিউছ ছানি, ১৪৪৬

কুকুরের মাংস নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৩৯

শেয়ার

কুকুরের মাংস নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ
দক্ষিণ কোরিয়ার কুকুরের মাংস খামারিদের মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের বিতর্কিত ঐতিহ্যে কুকুরের মাংস খাওয়ার রীতিটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে। যার প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করে বিক্ষোভ করেছেন কুকুরের মাংস শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা খামাদি ও ব্যবসায়ীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবারের এক প্রতিবেদনে জানায়, গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে, সরকার খাবারের জন্য প্রজনন করা প্রায় ৫ মিলিয়ন কুকুরকে পুনর্বাসনে সহায়তা করবে। কুকুর উৎপাদনে জড়িতদের ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেবে যাতে তারা ২০২৭ সালের প্রথম দিকে নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

সরকার কুকুর প্রজননকারী, কৃষক এবং রেস্তোঁরাগুলোকে তাদের ব্যবসা বন্ধের জন্য প্রণোদনা হিসেবে প্রায় ৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করেছে। তবে কুকুরের মাংস শিল্প গোষ্ঠীগুলো বলছে, প্রদত্ত সরকারি সহায়তা অপর্যাপ্ত। এ সহায়তা বৃদ্ধির জন্য তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

লি কিয়ং-সিগ নামে এক খামারি গত নভেম্বরে রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমি যে আর্থিক অবস্থার মধ্যে রয়েছি, তাতে যদি আমাকে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়, তাহলে আমি কী করব তার কোনো উত্তর নেই।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্ট কুকুরের প্রজনন ও জবাই নিষিদ্ধ করে একটি বিল পাস করে। যার ফলে দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে বিতর্কিত কুকুরের মাংস খাওয়ার প্রথার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।
 
গ্যালাপ কোরিয়ার ২০২২ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৪ শতাংশ মানুষ কুকুরের মাংস খাওয়ার বিপক্ষে ছিলেন। গত বছর কুকুরের মাংস খেয়েছেন এমন উত্তরদাতাদের সংখ্যাও ২০১৫ সালের ২৭ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে মাত্র ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে রাজধানী সিউলে কুকুর পরিবেশনকারী রেস্তোরাঁর সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গেছে।