শনিবার

১২ অক্টোবর, ২০২৪
২৭ আশ্বিন, ১৪৩১
০৮ রবিউছ ছানি, ১৪৪৬

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:১৪

শেয়ার

শান্তিতে নোবেল পেল জাপানের সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও
শান্তিতে নোবেল পেল নিহন হিদাঙ্কিও। ছবি: সংগৃহীত

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে জাপানের সংগঠন নিহন হিদাঙ্কিও। হিবাকুশা নামে পরিচিত এই জাপানি সংগঠনটি হিরোশিমা এবং নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়াদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংস্থা।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। পরমাণবিক অস্ত্রবিরোধী বিশ্ব গড়ার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে জাপানের সংগঠনটিকে এই পুরস্কার দেয়া হলো।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস বলেছেন, হিবাকুশা নামেও পরিচিত এই সংগঠনটি “পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টা এবং এই বিপর্যয়কে নিজের চোখে দেখে আসা প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান সবার সামনে তুলে ধরে পারমাণবিক অস্ত্র আর কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়” এমন প্রচরণার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছে।

মূলত নিহন হিদাঙ্কিও একটি পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদেরকে নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে পরমাণু-অস্ত্র বিরোধী প্রচারণা শুরু করে ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি।

এর আগে ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী। অবশ্য এ বছর পুরস্কারটির জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে), জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) ও জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল।

নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছিল, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি ও সংস্থা ছিল ৮৯টি।

নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রতি বছর ৩০০ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। সুইডিশ বিজ্ঞানী ও ডায়নামাইট উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুর ৫ বছর পর থেকে তার নামে ও রেখে যাওয়া অর্থে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।