ফিলিস্তিনের পর লেবাননে চলছে ইসরায়েলের স্থল অভিযান। পাশাপাশি হিজবুল্লাহ ও হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলাও অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। এসব হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসারুল্লাহসহ হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হন। তাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে চলতি মাসের শুরতেই ইসরায়েলে ক্ষেপাণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এবার ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দেয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরান ভূল করেছে এবং এজন্য তাদেরকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে আগেই হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল, ইরানে হামলা চালানোর সব প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দাবি করেছে অ্যামেরিকা ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
শুরুতে তেহরানের বিভিন্ন পারমানবিক অস্ত্রাগার ও তেলক্ষেত্রে হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। তবে তেল আবিবের ওই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়নি বাইডেন প্রশাসন। এদিকে সিএনএন দাবি করেছে, অ্যামেরিকার দেয়া পরিকল্পনা অনুসারেই ইরানে হামলা চালাবে ইসরায়েল। নতুন পরিকল্পনায়, ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সীমিত পরিসরে হামলা চালাতে পারে দেশটি, এমন দাবিও করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
মার্কিন সুত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন আরও জানিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বর অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। চলতি মাসেও এ হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ইসরায়েলকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, ইরান এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইলে ইরান ভয়াবাহ প্রতিক্রিয়া জানাবে। সেই ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলকে অনুশোচনা করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: