শুক্রবার

২২ নভেম্বর, ২০২৪
৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

ভারতে কেন খাবারে থুতু, প্রস্রাব ও নোংরা মেশানো হচ্ছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:৩৮

আপডেট: ২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:৪০

শেয়ার

ভারতে কেন খাবারে থুতু, প্রস্রাব ও নোংরা মেশানো হচ্ছে!
ছবিঃ প্রতিকি

বিশ্বের একমাত্র দেশ ভারতে যেখানে খাবারে থুতু, প্রস্রাব ও নোংরা মেশানো হয়। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি শাসিত দুই রাজ্য- উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশে এমন নোংরা ঘটনা ঘটছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায় স্থানীয় খাবারের দোকানে ও রেস্তোরাঁর খাবারের থুতু ফেলছেন বিক্রেতারা। অন্য এক ভিডিওতে দেখা যায়, রান্না করা খাবারে প্রস্রাব মেশাচ্ছেন এক কর্মী।

এমন ভিডিও ভাইরালের পর দুই রাজ্যের খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় মুসলমানদের দায়ী করে প্রচার করছে কট্টর হিন্দুরা।  ‘ফ্যাক্ট চেকিং ওয়াবসাইটে’ এই দাবি সঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে। পরে পুলিশও জানিয়েছে এই নোংরা কাজ, মুসলিমরা নয়, হিন্দুরা করেছেন।

থুতু ফেলাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে এর আগেও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির সময়, মুসলমানদের নিয়ে একের পর এক ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ভারতে। তখন মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে বলা হয়, কোভিড সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে খাবারে থুতু ফেলছে তারা।

কট্টর হিন্দুদের খাবারে থুতু, প্রস্রাব ও নোংরা বস্তু মেশানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর প্রদেশ। হোটেল, রেস্টুরেন্টে যারা এমন নোংরা কাজ করবে তাদের মোটা অঙ্কের জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়ার বিধান করতে যাচ্ছে হিন্দুত্বাবাদী রাজ্য দুটি।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মনে করেন এই জাতীয় ঘটনা বন্ধে হোটেলের প্রত্যেক কর্মীর বিষয়ে তথ্য যাচাই করা। একইসঙ্গে রাঁধুনি ও ওয়েটারদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা এবং হোটেল ও রেস্তোঁরায় সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করত হবে।

ভারতে খাদ্য সুরক্ষা একটা বড় উদ্বেগের বিষয়। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয় এমন খাবার খেয়ে প্রতি বছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের শিকার হন এবং মৃত্যু হয় চার লক্ষ মানুষের।