মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্য হাড্ডহাড্ডি লড়াই হবে। শেষ পর্যন্ত কে বিজয়ী হবে তা সময় বলে দিবে। এ নির্বাচনে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বি ছাড়াও আরও চার জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে গাজা ও লেবানন ইস্যুর কারণে তাদের মধ্যে যে কারো ভাগ্য বদল হয়ে যেতে পারে, যদিও তার সম্ভাবনা খুবই কম।
এই চার প্রার্থী সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আসুন এই চার অপরিচিত প্রার্থীদের সম্পর্কে জেনে নেই।
জিল স্টেইন
গ্রিন পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৭৪ বছর বয়সী জিল স্টেইন এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়েছিলেন। তবে নির্বাচন আশানুরূপ ফল না পেলেও তিনি ওই সময় দশমিক ৪ শতাংশ ও ১ শতাংশ করে ভোট পেয়েছিলেন। শিকাগো শহরে জন্ম নেয়া ৭৪ বছর বয়সী চিকিৎসক ও পরিবেশকর্মী জিল স্টেইন এবার ৪০টি অঙ্গরাজ্যে লড়ছেন। তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা ডেমোক্রেট শিবিরে। কারণ, তিনি কমলা হ্যারিসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ভোট তার পক্ষে টানতে পারেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটি মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে জিল স্টেইনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনী প্রচার চালিয়েছে। তাদের ভাষ্য, জিল স্টেইনকে একটি ভোট দেয়ার অর্থ ট্রাম্পকে ভোট দেয়া।
কর্নেল ওয়েস্ট
গ্রিন পার্টি থেকে জিল স্টেইন ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন কর্নেল ওয়েস্ট। বর্ণবাদবিরোধী ৭১ বছর বয়সী এ শিক্ষাবিদ বাইডেনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ ও ট্রাম্পকে ‘নব্য ফ্যাসিস্ট’ বলে মনে করেন। তিনি ১২টির বেশি অঙ্গরাজ্যে লড়ছেন। তার সমর্থন অল্প হলেও ডেমোক্রেট শিবিরের জন্য তিনি বড় দুশ্চিন্তার নাম।
চেজ অলিভার
লিবার্টারিয়ান পার্টি ২০২০ সালের নির্বাচনে ১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছিল। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় সব কটিই লড়ছেন দলটির প্রার্থী চেজ অলিভার। তাকে এবারের নির্বাচনের সম্ভাব্য অঘটন সৃষ্টিকারী ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। সাবেক এই ডেমোক্রেট ৩৯ বছর বয়সী অলিভার মুক্ত বাণিজ্য ও ছোট আকারের সরকারব্যবস্থার পক্ষে প্রচার চালান।
রবার্ট জুনিয়র কেনেডি
এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। তার পক্ষে এবারের নির্বাচনে ৫–৭ শতাংশ সমর্থন ছিল। কিন্তু গত আগস্ট মাসে তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। তবে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য তার নাম ব্যালট থেকে সরাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্পের পক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো কেনেডি নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবেন, তা স্পষ্ট নয়।
খবর: দ্য গার্ডিয়ান
আরও পড়ুন: