আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনের শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সুইং স্টেইট। বিভিন্ন জরিপ ও সমর্থনের ভিত্তিতে দেশটির বেশিরভাগ স্টেইটের ফলাফল নিয়ে ধারণা পাওয়া গেলেও, ব্যতিক্রম সুইং স্টেইটগুলো। শেষ পর্যন্ত এসব স্টেইটে যে প্রার্থী এগিয়ে থাকে, নির্বাচনে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এমন হিসাব মাথায় রেখে, শেষ মুহুর্তে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প ও হ্যারিসও তাই মনোযোগী হয়েছে এসব স্টেইটে প্রচারণায়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আর বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে সুইং স্টেইটের হিসাব বদলে যায় আমেরিকায়। রবিবার পেনসিলভানিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং জর্জিয়ায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোলান্ড ট্রাম্প।
পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছেন। নির্বাচিত হলে নতুন কিছু করে দেখানোর আশাবাদও ব্যক্ত করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নীতির বিরোধীতা করে জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিসকে অভিযুক্ত করে আরো বলেন, তাঁদের নীতির ফলে ব্যাপক সংখ্যক অপরাধী আমেরিকায় ঢুকেছে।
অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে মিশিগানে কৃষ্ণাঙ্গদের একটি চার্চে গিয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হ্যারিস বলেন, এই নির্বাচন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসময়, গণতন্ত্র ও সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এর আগে, ডেমোক্র্যাটদের দানবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ট্রাম্প। এর জবাবে কামালা বলেন, ঈশ্বরের পরিকল্পনায় এই বিভাজন রোধ করার যথেষ্ট শক্তি রয়েছে তাদের।
বিভিন্ন জরিপ বলছে, এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দুই প্রার্থীর। কে হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট তা জানতে সাবর দৃষ্টি এখন আমেরিকার দিকে। আবারো ট্রাম্প, নাকি ইতিহাস গড়ে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন কামালা হ্যারিস, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে বুধবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: