পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুক হামলায় তিন নারী-শিশুসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুর্রাম জেলার ওচত এলাকায় যাত্রীবাহী যানবাহনে হামলাকারীরা গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, ‘হামলাটি একটি বড় ট্র্যাজেডি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে এই হামলা হয়। নিহত ছাড়াও একাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রদেশটির আইনমন্ত্রী আফতাব আলম জিও নিউজকে বলেন, ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা পাহাড় থেকে গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি কুর্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে জেলার দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ওই দুটি গ্রুপ একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী দল। আমরা তদন্ত করছি।’
প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান আফতাব আলম।
এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর। তিনি মুখ্য সচিব, প্রদেশের আইনমন্ত্রী এবং স্থানীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এবং প্রদেশের সব মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদারে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া হামলায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন আলী আমিন গান্দারপুর।
এ ছাড়া ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
আরও পড়ুন: