পশ্চিমাদের সকল নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম পরাশক্তি ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থার নিন্দা প্রস্তাবের জবাবে এ সিদ্ধান্ত নেয় তেহরান। তাদের দাবি নিজেদের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষায় নেয়া হয়েছে এই কর্মসূচি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার, পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে সহযোগিতা না করার অভিযোগ টেনে ইরানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তুাব গৃহীত হয় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থায়। যা উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। আর এই নিন্দা প্রস্তাবের ২৪ ঘণ্টা হওয়ার আগেই জবাব দিল তেহরান।
ইরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এবার পরমাণু কর্মসূচির গতি আরও বৃদ্ধি করবে তারা। ত্বরান্বিত করা হবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প।
এ উদ্দেশ্যে বসানো হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন সেন্ট্রিফিউজ। যেগুলো ঘূর্ণন ক্ষমতাসম্পন্ন আগের থেকেও বেশি। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার নির্দেশে এরইমধ্যে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
তবে, তেহরানের দাবি জাতীয় স্বার্থ-নিরাপত্তা রক্ষাসহ পরমাণু সক্ষমতাকে বিকাশের জন্যই নেয়া হয়েছে এমন পদক্ষেপ। দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরোউজ কামালভান্দি বলেছেন, পশ্চিমারা নানা চাপ আর কৌশল প্রয়োগ করে আমাদের পারমাণবিক অবকাঠামোকে আরও পিছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তেহরান উল্লেখযোগ্য হারে তার সমৃদ্ধকরণ ক্ষমতা বাড়াবে। ইরানকে রুখে দিতে তারা বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপন করলেও দিন দিন সেগুলোতে সমর্থন হারাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থা জানায় নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে ইউরেনিয়ামের মজুত ব্যাপক হারে বাড়িয়েছে তেহরান। ২০১৫ সালের চেয়ে যা ৩২ গুণ বেশি ছিল।
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পে মূলত সেন্ট্রিফিউজ হলো এক ধরণের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র। যার সাহায্যে অপরিশোধিত ইউরেনিয়াম থেকে অন্যান্য পদার্থ আলাদা করে সমৃদ্ধ করা হয় ইউরেনিয়ামের মান। পারমাণবিক বোমা তৈরিতে প্রয়োজন হয় ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ ইউরেনিয়ামের। যেখানে, ইরানের মজুতকৃত ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ।
আরও পড়ুন: