রবিবার

২৪ নভেম্বর, ২০২৪
১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২৩ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর চেষ্টা, পুলিশের গুলিতে নিহত ৩ মুসল্লি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ২০:৫৮

আপডেট: ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ২১:০২

শেয়ার

মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির বানানোর চেষ্টা, পুলিশের গুলিতে নিহত ৩ মুসল্লি
সামভাল জামে মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

এবার টার্গেট, ভারতের উত্তরপ্রদেশের সামভালে মুঘল আমলের একটি জামে মসজিদ। মসজিদটি যেখানে তৈরি করা হয়েছে সেখানে আগে মন্দির ছিল এমন দাবি করে আদালতের দারস্থ হয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদী বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এরপর আদালত তাদের পিটিশনের ভিত্তিতে সেখানে জরিপ চালানোর নির্দেশ দেয়।

রোববার সকালে জরিপ চালাতে গিয়েছিল একটি দল। কিন্তু তাদের জরিপ চালাতে বাধা দিয়ে প্রতিবাদ করেন সেখানকার মুসল্লিরা। সেসময় ‍হিন্দু ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মুসলমানদের। বিক্ষুব্ধ মুসল্লীদের উপর গুলি চালিয়ে নাঈম, বিলাল এবং নোমান নামের তিন মুসলিমকে হত্যা করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি কয়েকজন পুলিশ ও জরিপকারী দলের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করার কারণে তাদের গুলি করা হয়।

পুলিশ ব্যাপক শক্তি প্রয়োগের ফলে সেখানে তিন মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে উপস্থিত জনতা ১০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মোরাদাবাদ ডিভিশনাল কমিশনার অঞ্জনেয়া কুমার সিং।

হিন্দুত্ববাদীরা ভিত্তিহীনভাবে দাবি করছে, মুঘল শাসক বাবরের আমলে ১৫২৯ সালে মন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। সমালোচকরা বলেছেন, মূলত উত্তেজনা তৈরি করতেই মসজিদটিতে জরিপ চালানোর মতো নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া এর মাধ্যমে ভারতের উপাসনা আইন ১৯৯১ ভঙ্গ করা হয়েছে। এ আইনে ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর পবিত্রতা রক্ষার কথা বলা হয়েছে।

তিন মুসলিমকে হত্যার পাশপাশি নারীসহ আরও অন্তত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজকে হত্যার পরও মসজিদটিতে জরিপ চালিয়েছে জরিপকারী দল। তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মসজিদটির বিভিন্ন জায়গার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে নিয়ে গেছেন। আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতের কাছে জরিপের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

স্থানীয় রাজনীতিবিদরা বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সেখানে উত্তেজনা তৈরি করেছে। তারা মূলত সেখানে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করে নিতে এ কাজ করেছে।