মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। যিনি ইতোপূর্বে মাদকাসক্তির তথ্য গোপন করা ও অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখা এবং ফেডারেল ট্যাক্স চার্জের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।
হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, 'আজ, আমি আমার ছেলে হান্টারের ক্ষমার কাগজে স্বাক্ষর করেছি। দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকেই আমি বলেছিলাম যে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করব না এবং আমার কথা রেখেছি। তবে আমি দেখেছি শুধুমাত্র পরিবারের নামের কারণে আমার ছেলেকে এককভাবে এবং নির্বাচিত ও অন্যায়ভাবে বিচার করা হয়েছে।'
এর আগে অবশ্য হোয়াইট হাউস বারবার বলেছিল যে বাইডেন তার ছেলের শাস্তি ক্ষমা বা কমানোর সিদ্ধান্ত নিবেন না। হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করার পরও বাইডেনকে একই অবস্থান প্রকাশ করতে দেখা যায়। তখন এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এ মামলায় যে রায়ই আসুক না কেন, তিনি বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তবে রোববার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বাইডেন বলেছেন, "হান্টারকে ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। নিরলস আক্রমণ এবং এমন বিচারের মুখেও সে সাড়ে পাঁচ বছর ধরে শান্ত ছিলো। হান্টারকে ভাঙার চেষ্টা করে, তারা আমাকে ভাঙার চেষ্টা করেছে - এবং এটি এখানে থামবে বলে বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই।"
মাদকাসক্তির তথ্য গোপন করা ও অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখা এবং ফেডারেল ট্যাক্স চার্জের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাইডেনের ছেলে হান্টারের শাস্তি ঘোষণার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই হান্টারকে ক্ষমার কর দিলেন জানুয়ারিতে ক্ষমতা ছাড়তে যাওয়া মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি সপ্তাহান্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, তার স্ত্রী জিল বাইডেন এবং হান্টারসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা ম্যাসাচুসেটসের ন্যানটকেট-এ থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটি কাটিয়ে শনিবার রাতে ওয়াশিংটনে ফেরেন। তার পরেরদিনই হোয়াইট হাউস থেকে হান্টারকে ক্ষমার তথ্য সামনে আনা হলো।
প্রসঙ্গত, আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১৮ সালে উইলমিংটনের আগ্নেয়াস্ত্রের একটি দোকান থেকে তিনি রিভলবার কিনেছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্রটি কেনার সময় ফেডারেল কাগজপত্রে দেয়া তথ্যে নিজের মাদকাসক্তির কথা গোপন করেছিলেন হান্টার। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
খবর: রয়টার্সের।
আরও পড়ুন: