যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরই কানাডীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার জাস্টিন ট্রুডোকে বললেন, সীমান্ত সামলাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে। কিন্তু কেন এমন কথা করলেন ট্রাম্প? সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বিস্তারিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার ট্রাম্পের সঙ্গে ডিনার করতে হঠাৎ করেই ফ্লোরিডা উড়ে এসেছিলেন ট্রুডো। এ সময় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত মার-এ-লোগো এস্টেটে ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে কথা বলেন ট্রুডো।
এর আগে, অভিবাসী স্রোত এবং সীমান্তে মাদক পাচার ঠেকাতে না পারলে কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যে উচ্চ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
মার-এ-লোগোতে নৈশভোজের সময়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, অরক্ষিত যৌথ সীমান্তের উপর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করবে অটোয়া।
ট্রুডো বলেন, কানাডা সমস্ত পণ্য ও পরিষেবা রফতানির ৭৫ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় এবং এক্ষেত্রে উচ্চ শুল্ক বসালে তা কানাডার অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।
ট্রুডো ও ট্রাম্পের আলোচনার সময় উপস্থিত ছিলেন এমন দুজনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফক্স নিউজ জানিয়েছে, ট্রুডোকে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘অটোয়া যদি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং বাণিজ্য ঘাটতি পরিশোধসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় তাহলে কানাডার উচিত যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া।’
এ সময় ট্রাম্প আরও বলেন, কানাডা ৭০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীসহ সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক এবং লোকদের ঢুকতে দিয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষা হচ্ছে না। তিনি কানাডার সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিও তুলে ধরেন। এই ঘাটতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বলে জানান ট্রাম্প।
জবাবে ট্রুডো বলেন, কানাডার ওপর এত উচ্চ শুল্ক আরোপ করলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তখন ট্রাম্প কৌতুক করে ট্রুডোকে পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে। এসময় ট্রুডোসহ অন্যরা হেসে উঠেন বলে ফক্স নিউজ জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারী দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই কানাডীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: