
বাংলাদেশ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার কলকাতার আলিপুর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ নাগাদ কারামুক্ত হন তিনি।
সোমবার পি কে হালদারের ছাড়া পাওয়ার কথা থাকলেও ব্যাংকশাল কোর্টের নথি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাতে না পারায় তার মুক্তি আটকে যায়। মঙ্গলবার পি কে হালদারের সঙ্গে মুক্তি পেয়েছেন উত্তম মিস্ত্রী ওরফে উত্তম মৈত্রীও। অপর অভিযুক্ত স্বপন মিস্ত্রী ওরফে স্বপন কুমার মৈত্রীর নথি জমা না পড়ায় তার জামিন আটকে গেছে।
জেল থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের কর্মীদের সামনে হাত জোড় করে পি কে হালদার বলেন, এখন আমি কিছু বলবো না। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে বলবো।
গত ২০ ডিসেম্বর কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালতের বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় পি কে হালদার, উত্তম মিস্ত্রী ও স্বপন মিস্ত্রির জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমাম হোসেন এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানা শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
এ নিয়ে বাংলাদেশ গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের অর্থ তছরুপের মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজন শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের গ্রিনটেক সিটি থেকে গ্রেফতার করা হয় পি কে হালদারকে।
আরও পড়ুন: