
ইতিহাসের রেকর্ড দরপতনের মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় রুপি। মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে রুপির দাম। বর্তমানে বাজারে এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে ৮৬ ভারতীয় রুপি পাওয়া যাচ্ছে।
বেশ কিছুদিন ধরেই ডলারের বিপরীতে দরপতন হচ্ছিল ভারতীয় রুপির।
সোমবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রুপির দাম শূন্য দশমিক চার শতাংশ কমে ৮৬.৩৯ এ পৌঁছেছে।
মার্কিন কর্মসংস্থান প্রতিবেদন প্রত্যাশার চেয়েও শক্তিশালী হওয়ার পর রুপির এই বড় পতন ঘটে, যা রুপিকে আরও দুর্বল করে তুলেছে ডলারের বিপরীতে।
মুদ্রার এই পরিস্থিতি দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে। শেয়ারবাজারে রুপির কমতির কারণে পতন অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রুপির এই দরপতনের কারণে দেশটির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত, যারা বিদেশে পড়াশোনা করছেন বা আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা করছেন, তাদের জন্য এটি আরও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। রুপির মূল্য কমার ফলে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং বিদেশে পড়াশোনা করা আরও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে, যা সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত খরচ বহন করতে বাধ্য করছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রুপি এবং শেয়ারবাজার উভয়ই অস্থির থাকবে এবং আগামীতে আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।
এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, রুপি কমার অন্যতম কারণ হলো আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী হওয়া। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বন্ডের বিপরীতে অতিরিক্ত মুনাফা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যার ফলে রুপির মূল্য কমে যাচ্ছে।
এইসব কারণে রুপি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এর মূল্য আরও কমতে পারে, যা ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।
আরও পড়ুন: