যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আরও ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আজ শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি)। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ যারা মুক্তি পেতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন যাবজ্জীবন কারাভোগ করছেন। এ ছাড়া ৫৪ জন দীর্ঘমেয়াদে কারাভোগ করছেন। বাকি ১১ জনকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর আটক করা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে। পরে সংখ্যাটি বাড়ানো হয়।
ফিলিস্তিনি বন্দী সোসাইটির মুখপাত্র আমানি সারাহনেহ জানান, তথ্যটি হালনাগাদ করা হয়েছে। আজ শনিবার ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে দখলদার ইসরায়েল।
এই ১৮৩ ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে ৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দেবে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি বলেছে, আজ যে তিনজন জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে দুজন মার্কিন নাগরিক রয়েছেন।
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে হামাসের সশস্ত্র শাখার মুখপাত্র আবু ওবায়দা লিখেছেন, শনিবার ইয়ারদেন বিবাস, কেইথ সেইগেল এবং ওফার কালদেরন নামের তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পাঁচজন ও তিন ইসরায়েলিসহ মোট আটজনকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পায় ১১০ জন ফিলিস্তিনি।
দীর্ঘ ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম ধাপের ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ৭৩৭ ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ হাজার ৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরায়েলের হামলা থেকে বাদ যায়নি উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। গত ১৫ মাসের হামলায় ৮০ হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: