
লেবাননের রাজধানী বৈরুত বিমানবন্দরের কাছে জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী ইউনিফিলের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। এসময় ইউনিফিলের একটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। হামলায় এক বিদায়ী উপপ্রধান আহত হয়েছেন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) লেবাননে দায়িত্ব শেষে নেপালের উদ্দেশে বৈরুত ত্যাগ করার সময় মেজর-জেনারেল চক বাহাদুর ধাকাল হামলায় আহত হন। গাড়িবহরটি শান্তিরক্ষীদের বৈরুত বিমানবন্দরে নিয়ে যাচ্ছিল। তখন এটি হামলার শিকার হয় এবং তাদের একটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
জাতিসংঘের অস্থায়ী বাহিনী ইউনিফিল (ইউএনআইএফআইএল) এক বিবৃতিতে লেবানন কর্তৃপক্ষের কাছে এ হামলার ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক’ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, ইসরাইলের অভিযোগের পর বৈরুতে ইরানি বিমান অবতরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে লেবানিজ কর্তৃপক্ষ। তেল আবিবের অভিযোগ, বেসামরিক বিমান ব্যবহার করে ইরান হিজবুল্লাহর কাছে অবৈধভাবে জিনিসপত্র পাচারের চেষ্টা করছে। লেবানন সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির একমাত্র বিমানবন্দরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। সেই বিক্ষোভ থেকেই জাতিসংঘের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম এবং লেবাননের সেনাবাহিনী ইউনিফিলের ওপর এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতারে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতিসংঘের একটি সাদা যানবাহনে আগুন জ্বলছে আর একদল হলুদ পতাকাবাহী যুবক শান্তিরক্ষীদের তাড়া করছে।
বিবৃতিতে ইউনিফিল জানিয়েছে, শান্তিরক্ষীদের ওপর এই জঘন্য হামলায় আমরা স্তম্ভিত। কারণ তারা দক্ষিণ লেবাননে কঠিন সময়ে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছিলেন।
এতে আরও বলা হয়, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আমরা লেবানন কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক তদন্তের দাবি জানাই এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।’
হিজবুল্লাহ-সমর্থিত আমাল আন্দোলন বলেছে, ‘ইউনিফিলের ওপর হামলা দক্ষিণ লেবাননের ওপর হামলার সমান’ এবং এটিকে ‘গৃহশান্তিতে আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছে।
আরও পড়ুন: