
কয়েক দশকের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রতিবেশী মিয়ানমারে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচে এখনো শত শত মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিকম্পে দেশটিতে সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এলাকায় কাজ করছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা।
তারা বলছে, মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানুষের আশ্রয়, খাদ্য ও পানি জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লেইং বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ২ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কার করা হচ্ছে।’
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় বলেছে, মিয়ানমারের মান্দালয় শহরে জাতিসংঘের পরিচালিত একটি প্রাক-বিদ্যালয় ভেঙে ৫০ শিশু ও দুইজন শিক্ষক নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ বলছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে লোকজনের মৌলিক চাহিদা যেমন বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন সরঞ্জাম সরবরাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে সংস্থাটির জরুরি সেবা শাখার সদস্যরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা লোকজনকে শনাক্ত ও তাদের কাছে জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে অবিরাম কাজ করে চলেছেন।
আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (আইআরসি) বলেছে, মান্দালয়ের মতো এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছের এলাকাগুলোতে মানুষের আশ্রয়, খাদ্য, পানি এবং চিকিত্সা সহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের তাণ্ডবের মাঝে বেঁচে থাকা লোকজন এখন পরাঘাতের ভয়ে রাস্তায় কিংবা খোলা মাঠে ঘুমাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: