
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত দক্ষিণ সুদানের সব অভিবাসীর ভিসা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে দেশটির নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানের যেসব অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল তাদের গ্রহণ করেনি দেশটি। এ কারণে এই দেশের সব নাগরিকের মার্কিন ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দক্ষিণ সুদানের পাসপোর্টধারীদের সব ধরনের মার্কিন ভিসা বাতিলের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ছাড়া এ দেশের নাগরিকরা যেনো আর যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারেন সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগের মেয়াদে তিনি কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন।
তার দ্বিতীয় মেয়াদে দক্ষিণ সুদান প্রথম দেশ হতে যাচ্ছে যেটির সব পাসপোর্টধারীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণায় অভিবাসন বিরোধী ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন। দক্ষিণ সুদানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা তারই একটি প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বিবৃতিতে আরও বলেছেন, ‘দক্ষিণ সুদানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুযোগে সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো দেশ অন্য কোনো দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে চায় তখন তাদের নিজ নাগরিকদের সময়মতো গ্রহণ করা উচিত।’
দক্ষিণ সুদান যদি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে তাহলে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: