
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিলো জুলিয়ান শহরে। কম্পনের পর এখনো কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মূলত ভূমিকম্পের আগেই মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা কম্পনের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিল এবং এতে অনেকেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া কম্পনের পর পরবর্তী আফটারশকও রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো ও তার আশপাশের এলাকায় স্থানীয় সময় সোমবার ৫ দশমিক ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে, ইউএসজিএস।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল জুলিয়ান শহরে। এটি সান ডিয়েগোর উত্তর-পূর্বে কুয়ামাকা পাহাড়ে অবস্থিত একটি ছোট পর্যটন শহর।
দুই ঘণ্টা পর সান ডিয়েগো শহর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র পেরেট গডউইন বিবিসিকে জানান, কোনো বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি বা আহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। একই কথা জানিয়েছে সান ডিয়েগো শেরিফের দফতরও। তারা একে চলমান পরিস্থিতি বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের আগমুহূর্তে ইউএসজিএস-এর জরুরি বার্তায় লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় লেখা ছিল, ‘ড্রপ, কভার, হোল্ড অন। নিজেকে রক্ষা করুন।’
বিবিসি বলছে, এই সতর্কবার্তা পাঠানোর পেছনে কাজ করে ইউএসজিএস-এর শেকঅ্যালার্ট নামের একটি বিশেষ সিস্টেম। এটি সারা ক্যালিফোর্নিয়ায় মাটির নিচে বসানো সিসমোগ্রাফ ও সেন্সর ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্প শনাক্ত করে।
এই শেকঅ্যালার্ট টিমের প্রধান রবার্ট ডি গ্রুট বলেন, ‘আমরা প্রায় এক সেকেন্ডের তথ্য বিশ্লেষণ করেই বুঝতে পারি কী ঘটছে। এরপর সেই তথ্য গুগলসহ বিভিন্ন অ্যাপে পাঠানো হয়, যেনো মানুষ আগেই সতর্ক হতে পারে।’
আরও পড়ুন: