
পেহেলগাম হামলার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরজুড়ে সেনা অভিযান চালাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এসব অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্বিচারে কাশ্মীরিদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে সেনারা। এমনকি স্থানীয়দের বাড়ি বুলডোজার ও আইইডি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের না পেয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের।
রোববার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীরে ভারতীয় সৈন্যরা সন্দেহভাজনদের বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে। সর্বশেষ আরও দুই ব্যক্তির বাড়িঘর ভেঙে দেয় তারা। বলা হচ্ছে, ওই দুই ব্যক্তি পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার সাথে জড়িত বলে সন্দেহভাজন।
হামলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ দুই সন্দেহভাজন বিদ্রোহীর পরিবারের সদস্যদেরও আটক করা হয়। তাদের আত্মীয়স্বজন এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোববার একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, পেহেলগাম হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের ৯টি বাড়িতে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
অধিকারকর্মীরা বলছেন, সাম্প্রতিক বাড়ি ভাঙা সুপ্রিম কোর্টের আদেশের লঙ্ঘন। যেখানে কর্তৃপক্ষকে বাড়িঘর ভাঙার আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ উপস্থাপন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শীর্ষ আদালত বলেছে, আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে কোনো ব্যক্তির বাড়ি ভেঙে ফেলা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।
অধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রশাসনের এ ধরনের কাজকে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে সম্মিলিত শাস্তির একটি ধরন হিসেবে বর্ণনা করছে। কারণ, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগেই এবং শুধু সন্দেহের বসে কোনো ব্যক্তির স্বজনদের বসবাসের জন্য নির্মিত বাড়ি ভাঙা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: